যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে আজ রোববার সকাল থেকে অন্যান্য পণ্যের আমদানি-রপ্তানি শুরু হলেও আটকে পড়া পেঁয়াজের কোনো ট্রাক ছাড়েনি ভারতীয় কাস্টমস। এতে বন্দরের পচে নষ্ট হয়েছে ট্রাকভর্তি পেঁয়াজ। নানা নাটকীয়তায় গত সাতদিন ধরে এপথে বন্ধ রয়েছে পেঁয়াজ আমদানি।
পেঁয়াজ আমদানিকারক হামিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি সরোয়ার জনি আজ রোববার বলেন, ‘বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় এ পথে আমদানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাদেরকে আর বিশ্বাস করা যায় না।’ এখন নতুন করে আর পেঁয়াজের এলসি খুলবেন কি না, সংশয়ে পড়েছেন তিনি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ভারত বাণিজ্যিক চুক্তি লঙ্ঘন করে অনেক ব্যবসায়ীকে পথে বসালো। প্রতিবেশী বন্ধু দেশের কাছে এমন আচারণ আমরা আশা করিনি।’
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি সমতিরি সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘আটকে থাকা পেঁয়াজ পচে নষ্ট হওয়ায় ইতিমধ্যে অনেক আমদানিকারক পেট্রাপোল বন্দর থেকে তাদের পেঁয়াজের ট্রাক বের করে স্থানীয় বাজারে সস্তায় বিক্রি করে দিয়েছেন। আবার কেউ ভোমরা বন্দর খোলা থাকায় সেখানে নিয়ে গেছে। বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় বন্দর এলাকায় এখনো ২০টির মতো ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে।’
বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকতা আকছির উদ্দীন মোল্লা বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজের কোনো গেটপাশ না আসায় ট্রাক বেনাপোল বন্দরে ঢুকতে পারেনি। তবে ভারতীয় কাস্টমসে আটকে থাকা পেয়াঁজ দিলে তা দ্রুত খালাসের জন্য কাস্টমসের সকল প্রস্তুতি রয়েছে।’
এদিকে পেঁয়াজ না ঢোকায় বাজারে কমেনি দাম। এখনো প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেবর ভারতকে ইলিশের দেওয়া হলে কিছুক্ষণ পর সংকট অযুহাত দেখিয়ে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বেনাপোল বন্দরে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে গত সাতদিনে ভারত থেকে এক ট্রাক পেঁয়াজও আসেনি। তবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেছে সাড়ে ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ।
Leave a Reply